টানা সাত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সে (কেকেআর) খেলেছেন। মাঝে ছেড়ে দিলেও এই মৌসুমে আবারও সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে আনে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কিন্তু করোনার কারণে এবার টুর্নামেন্টের মাঝপথেই বিদায় দিতে হলো বাংলাদেশি অলরাউন্ডারকে। করোনার বাধায় মঙ্গলবার স্থগিতই হয়ে গেছে আইপিএলের এবারের আসর।
২৯টি ম্যাচ খেলা হয়েছে, বাকি আরও ৩১টি। সামনে কেকেআরের হয়ে হয়তো অনেক ম্যাচেই মাঠ মাতাতে দেখা যেতো সাকিবকে, সেটা আর হচ্ছে না আপাতত। এবারের আইপিএলে কেকেআরের হয়ে প্রথম তিনটি ম্যাচেই খেলেন সাকিব। বল হাতে খারাপ করেননি। রান আটকে রাখার সঙ্গে দুটি উইকেটও পেয়েছেন।
কিন্তু ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতায় একাদশে জায়গা হারিয়ে ফেলেছিলেন। পরের চার ম্যাচে সাকিবের বদলে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার সুনিল নারিনকে একাদশে খেলায় কেকেআর। নারিন ব্যাট হাতে দেন আরও বড় ব্যর্থতার পরিচয়। চার ম্যাচে দুই শূন্যসহ করেন মাত্র ১০ রান। সাকিবের তাই একাদশে ফিরে আসাটা অনুমিতই ছিল।
এমন সময়ে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় আইপিএল। ঘরের ছেলেকে তাই বিদায় বলতেই হলো ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে। আজ (বৃহস্পতিবার) আহমেদাবাদ থেকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ঢাকায় পা রেখেছেন সাকিব। সঙ্গে এসেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে মাঠ মাতানো তার জাতীয় দলের সতীর্থ মোস্তাফিজুর রহমানও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাকিবকে শুভকামনা জানিয়ে আবেগী ভাষায় কেকেআর লিখেছে, ‘ধন্যবাদ সাকিব। বাংলাদেশি সতীর্থ মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আহমেদাবাদ থেকে নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছেছো শুনে ভালো লাগছে। নিরাপদে থেকো, শিগগিরই দেখা হবে।’
এই স্ট্যাটাসের শেষ অংশে বাংলায় ‘ভালো থেকো’ লিখে লাভ ইমোজিও দিয়েছে কেকেআর। এদিকে রাজস্থান রয়্যালস মোস্তাফিজকে বিদায় জানিয়েছে একটু ভিন্নভাবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা কাটার মাস্টারের একটি ভিডিও আপলোড দিয়েছে, যাতে ‘হাল্লা বোল’ বলতে দেখা যায় টাইগার পেসারকে। তাতে ক্যাপশন, ‘কাটার মাস্টার সাইন-অফ’।